আর মাত্র কয়েক দিন! এগিয়ে আসছে কালাষ্টমী, কালভৈরবকে তুষ্ট করতে করুন এই কাজগুলি

নেশনহান্ট ডেস্ক : হিন্দু ধর্মে কালাষ্টমী উৎসবের বিশেষ পৌরাণিক তাৎপর্য রয়েছে। কালাষ্টমীতে বাবা কালভৈরবের পুজো করা হয়। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে প্রতি মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথি কাল ভৈরবকে উৎসর্গ করা হয়। এই বছর ৫ তারিখ, রবিবার পড়েছে কালাষ্টমী তিথি। ধর্মীয় মত অনুসারে, ভগবান ভৈরবের বটুক (শিশু) রূপ, ভগবান শিবের মূর্তি পূজিত হয় কালাষ্টমীর দিন।

কালাষ্টমী ভগবান শিবের ভক্তদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনে প্রথমে তাঁর ধ্যান করুন কাল ভৈরবকে খুশি করার জন্যে। এরপর তাকে ভক্তি সহকারে নিবেদন করতে হবে সিঁদুর, গুলাল, আবীর, ফুল ইত্যাদি। অনেকে বিশ্বাস করেন যে, কালাষ্টমীর দিন ভৈরবকে নীল ফুল নিবেদন করলে জীবনে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। পাশাপাশি ভক্তরা কাল ভৈরবের আশীর্বাদধন্য হয়ে থাকে।

আরোও পড়ুন : মহিলাদের জন্য সুখবর! এই মাস থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডারে থাকছে নয়া চমক, মিলবে ৪ হাজার টাকা

শুধু তাই নয় নেতিবাচক প্রভাব কাটানোর জন্য কালভৈরবের আরাধনা করা হয়। কাল ভৈরবের পূজা করলে ভূতের ভয় থাকে না বলেও অনেকের মনে করেন। তবে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে যে, কালভৈরবের বিশেষ আশীর্বাদ পেতে কালাষ্টমীর দিন তাঁর মন্ত্র যতটা সম্ভব জপ করা দরকার। এমনকি, কালাষ্টমীর উপবাস অত্যন্ত শুভ বলে বিবেচিত।

আরোও পড়ুন : এই গ্রামে এক হাত ছাড়াই পূজিত হন মা কালী! কারণ জানলে আপনিও অবাক হবেন

অকাল মৃত্যুভয় দূর করার জন্য ভক্তরা বেশ কয়েকটি পদ্ধতি প্রতিকার হিসেবে পালন করে থাকেন। কথিত আছে, কাল ভৈরবের মন্দিরে কাজল এবং কর্পূর দান করলে সব ধরনের ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পাশাপাশি ভগবানকে সেদিন জুঁই তেল বা সিঁদুর নিবেদন করা হয়। জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি লাভের জন্য লেবুর মালা অর্পণ করুন।

kalashtami 2

কাশীর মতো হিন্দু তীর্থস্থানে ব্রাহ্মণদের খাওয়ানো ফলদায়ক বলে মনে করা হয়। ধর্মীয় শাস্ত্র অনুসারে ভগবান কাল ভৈরবের বাহন হল কুকুর। এমন অবস্থায় কাল ভৈরবের আশীর্বাদ পেতে কালষ্টমীর দিন একটি কালো কুকুরকে রুটি ও গুড় খাওয়াতে হবে। বিশ্বাস করা হয় যে এটি করলে জীবনের সমস্ত ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

Comments

Popular posts from this blog

latest news

India rag is a bengali web portal and they use source of Anandabazar Patrika and many site

শীতেও এবার গলদঘর্ম হবেন আপনি! ডিসেম্বরে খেল দেখাবে অভিশপ্ত এল নিনো