লাগে ১০৮ মাথার খুলি, সঙ্গে মদ-মাংস! মহাশ্মশানে ডাকিনী-যোগিনী নিয়েই জেগে ওঠেন এই মা কালী

নেশনহান্ট ডেস্ক : দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মন্দিরবাজার থানা এলাকায় দক্ষিণ বিষ্ণুপুর অঞ্চলের মহাশ্মশানের কালীপুজো আর পাঁচটা পুজোর থেকে বেশ খানিকটা আলাদা। বিষ্ণুপুর মহাশ্মশান অবস্থিত আদি গঙ্গার পাশে। এই শ্মশানের জঙ্গলে রাত নামলেই ভেসে আসে নানান শব্দ। জঙ্গলের মাঝে অবস্থিত শ্মশান।

এই শ্মশানের পাশেই রয়েছে প্রাচীন কালী মন্দির। গ্রামবাসীদের দাবি এই মন্দিরে গভীর রাতে জাগানো হয় ডাকিনী যোগিনীদের। পুরোহিতরা এই মন্দিরে পুজো করেন গুপ্ত তন্ত্র মতে। মাকে পুজোয় দেওয়া হয় কাঁচা মাংস ও মদ। দেবীর চলচিত্র সেজে ওঠে মরার খুলি দিয়ে। এই মন্দিরের কালীপুজো শতবর্ষের পুরনো।

আরোও পড়ুন : এবার চাপে পড়ল দিদি নম্বর ১! জনপ্রিয় শো নিয়ে ভিন্ন ভাবনা Zee Bangla’র, মন খারাপ রচনাপ্রেমীদের

ভক্তরা দূর-দূরান্ত থেকে আসেন নিজেদের মনোবাসনা নিয়ে। একদিকে এই দেবী কালী উগ্র চণ্ডী, খড়্গ হাতে অশুভ শক্তির বিনাশক, অন্যদিকে মাতৃরূপী স্নেহের পরশও বেশ স্পষ্ট। ভক্তদের বিশ্বাস এই দেবী খুবই জাগ্রত। এই দেবীর পুজোর উপকরণ ভয়ংকর হলেও, ভক্তরা নানান সমস্যার সমাধান পান এখান থেকেই।

আরোও পড়ুন : বালু গ্রেফতার হতেই সামনে এল চমকে দেওয়া তথ্য! ৮ লাখ রেশনকার্ড বাতিল এই জেলায়

কালীপুজোর দিন তাই দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা এসে ভিড় করেন মায়ের কাছে। একটা সময় নাকি বহু তান্ত্রিক ও সন্ন্যাসী এখানে সাধনা করতে আসতেন। এমনকি এখানে শব সাধনাও চলত। তান্ত্রিক মণিলাল চক্রবর্তী দশম মহাবিদ্যার প্রথম মহাবিদ্যার পুজো তান্ত্রিক মতে এখানে শুরু করেন দেবী কালীর আরাধনা।

blobid0

তান্ত্রিক নিয়ম অনুযায়ী মণিলাল চক্রবর্তী মাকে ১০৮ টি নরমুণ্ড দিয়ে পুজো করা শুরু করেন। কথিত আছে শ্মশান থেকে অপঘাতে মৃতদের নরমুন্ড আনা হত। মণিলাল চক্রবর্তীর মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে শ্যামলাল চক্রবর্তী এখন পুজো করেন। তাঁর কথায়, “তন্ত্র সাধনা, গুপ্ত বিদ্যা শিখেছি বাবার কাছে। সেই ধারণা দিয়েই এখানে পুজো করি। এখন আর শব সাধনা হয় না, তবে মায়ের আরাধনা করা হয় তান্ত্রিক মতে।”

Comments

Popular posts from this blog

latest news

India rag is a bengali web portal and they use source of Anandabazar Patrika and many site

সইবে ঝড়-জলের দাপট, টিকে থাকবে বিস্ফোরণেও! এই শহরেই এবার দেশের প্রথম তারের 'রেলসেতু'