দীঘা, পুরি ভুলে পা রাখুন এই পাখিদের গ্রামে! লোকাল ট্রেনে খরচ সামান্যই, আর মন চাইবে না ফিরতে
নেশনহান্ট ডেস্ক : শীতকাল মানে মন চায় একটু কোথাও থেকে ঘুরে আসতে। মনোরম এই আবহাওয়া সবাই কয়েকটা দিনের জন্য একটু দূরে ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন। শীতকালে অনেকেই পিকনিক করতে যান। আবার অনেকেই বেরিয়ে পড়েন অ্যাডভেঞ্চারের নেশায়। তবে যদি দীঘা-পুরি যেতে যেতে ক্লান্ত হয়ে পড়েন তবে আজকের এই প্রতিবেদনটি একটিবার পড়তে পারেন।
আমরা কয়েক দিনের জন্য ঘুরতে যাওয়ার এমন একটি জায়গার সম্বন্ধে জানাতে চলেছি যেটি অনেকেরই অজানা। আমরা আজকের এই প্রতিবেদনে এমন একটি জায়গার সন্ধান দেব যেখানে গেলে শরীর ও মন দুটোই ভালো হয়ে উঠবে। আবার এই জায়গায় যাওয়ার জন্য প্রয়োজন নেই বেশি টাকা খরচের। অনেকের কাছেই পূর্ব বর্ধমানের চুুপির চর পরিচিত একটি নাম।
আরোও পড়ুন : ‘ডিপেস্ট’ মেট্রো স্টেশন হিসেবে উঠে এল হাওড়ার নাম! কবে থেকে মিলবে পরিষেবা ?
পূর্ব বর্ধমানের এই পর্যটনস্থলটি শীতের সময় হাজার হাজার পরিযায়ী ও অজানা পাখিদের আকৃষ্ট করে। প্রকৃতিপ্রেমী ও পক্ষী প্রেমীদের কাছে এই জায়গাটি স্বর্গ বলাই চলে। সরকারের উদ্যোগে পর্যটকদের জন্য নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে এই জায়গাটি। আশা করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে এই জায়গাটির সৌন্দর্য দেখার জন্যই ভিড় জমাবেন চিত্রগ্রাহকরা।
আরোও পড়ুন : হু হু করে নামবে পারদ, এই দিনেই জাঁকিয়ে পড়বে শীত! চমকে দেওয়া খবর দিল আবহাওয়া দপ্তর
সম্প্রতি এই পাখিরালয় দর্শন করে গেছেন পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি, সাংসদ সুনীলকুমার মণ্ডল, পূর্বস্থলী উত্তরের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়। বর্ধমান পূর্ব আসনের সাংসদ সুনীল মণ্ডল বলেছেন, “পূর্ব বর্ধমানের কালনা মহকুমার পূর্বস্থলীর এই গন্তব্যটিকে যুক্ত করা হবে আরো নতুন আবাসন ও পর্যটন সুবিধার সাথে। এর ফলে আশা করা যাচ্ছে আরও বেশি পর্যটক এখানে আসবেন।”

পূর্বস্থলী উত্তরের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়, পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা চুবির চর পরিদর্শন করেছেন পরিকাঠামগত উন্নয়নের জন্য। সুনীল মন্ডলের কথায়, “আমরা চাইছি এই জায়গাটিকে গোটা বছরের জন্য একটি পর্যটন স্থলে পরিণত করতে। বিশাল অক্সবো হ্রদ এবং তার আশেপাশে পরিযায়ী পাখিরা শীতের সময় দর্শকদের বেশ আকৃষ্ট করে। “
Comments
Post a Comment