গানের জোরেই বেঁচে গিয়েছিল প্রাণ! রামপ্রসাদকে বলি দিতে গিয়ে রঘু ডাকাত যা দেখেছিলেন...
নেশনহান্ট ডেস্ক : সারা রাজ্যে বেশ প্রসিদ্ধ ত্রিবেণীর রঘু ডাকাতের কালীবাড়ি। প্রতিবছর অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে এই মন্দিরে কালীপুজো হয়ে থাকে। এবছরও শুরু হয়ে গেছে কালীপুজোর প্রস্তুতি। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে এখানে। তবে আগের মতো নরবলি এখন আর হয় না। একটা সময় গভীর জঙ্গল ছিল ত্রিবেণী।
বাঘের উপদ্রবে টেকা দায়। রঘু ঘোষ ও বিধুভূষণ ঘোষ নামের দুই ডাকাত তখন রাজত্ব চালাত এই জায়গায়। একদিন তারা স্বপ্নে পাওয়া চেহারা অনুযায়ী তৈরি করেন কালী মূর্তি। মাতৃ রূপে মা কালীকে শ্রদ্ধা করত ডাকাতরা। মাকে স্নান করিয়ে পুজো করে বেরোতেন ডাকাতি করতে। নরবলি প্রথা শুরু হয় সেই সময় থেকেই।
আরোও পড়ুন : একই রংয়ের পোশাক! রাত পার্টিতে কাঞ্চনকে চোখে হারালেন শ্রীময়ী, গোপনীয়তা আলগা করছেন এই জুটি?
সাধক রামপ্রসাদ একটা সময় ফিরছিলেন মধ্যপ্রদেশ থেকে। রঘু ও বিধু ডাকাতের হাতে তিনি ধরা পড়লেন ত্রিবেণী পৌঁছানোর পর। সম্পত্তি অবশ্য কিছুই ছিল না রামপ্রসাদের কাছে। ডাকাতরা তখন ঠিক করে রামপ্রসাদকে মা কালীর সামনে বলি দেওয়া হবে। রামপ্রসাদ বলেন হাড়িকাঠে মাথা দেওয়ার আগে তিনি গান করতে চান।
আরোও পড়ুন : খরচ খুব সামান্য! দেখা মিলবে অপরূপ পাহাড় আর সবুজের গালিচার, ঢুঁ মেরে আসুন এই গ্রামে
এরপর যেই রামপ্রসাদ গান শুরু করেন বিহবল হয়ে পড়েন দুই ডাকাত। ডাকাতরা মা কালীর মুখ দেখতে পেয়েছিলেন রামপ্রসাদের মধ্যে। এই অলৌকিক ঘটনা ঘটার পর ডাকাতরা ভেঙে পড়েন কান্নায়। এরপর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় বলি। মন্দিরের সেবাইত সুমন চক্রবর্তী বলেছেন, “এই পুজো প্রায় ৫০০ বছর পুরনো।”
তিনি আরও জানান, “নরবলি বন্ধ হয়ে গেলেও এখানে ছাগ বলি হয় শনি ও মঙ্গলবার এবং অমাবস্যায়। নিয়মিত পুজো হয় এই মন্দিরে। কালীপুজোর সময় দুপুরে খিচুড়ি, ভাজা, তরকারি দিয়ে ভোগ ভোগ দেওয়া হয়। পাঁঠার মাংস, লুচি, খিচুড়ি, নাড়ু ও ল্যাঠা মাছ পোড়া ভোগ দেওয়া হয় রাতে।”
Comments
Post a Comment