তৈরী ষঠচক্রের তত্ত্বে! বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ২০৯ বছরের বলিপ্রথা, চর্চা শুরু এই মন্দিরকে ঘিরে

নেশনহান্ট ডেস্ক : বাঁশবেড়িয়ায় জন্ম গ্রহণ করেছিলেন প্রখ্যাত কবি পিনাকী ঠাকুর এবং নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। এই জায়গাটির রন্ধে রন্ধ্রে মিশ্রিত রয়েছে ইতিহাস ও পুরাতত্ত্বের এক আশ্চর্য গাঁথা। সাহিত্য প্রেমীদের পাশাপাশি পর্যটকদের কাছেও এই জায়গাটি বেশ জনপ্রিয়। তবে বাঁশবেড়িয়া নামটা শুনলেই আমাদের প্রথম যে কথাটি মনে আসে সেটি হল হংসেশ্বরী মন্দির।

৭০ ফুটের সুবিশাল এই মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবীর মাহাত্ম্য ছড়িয়ে পড়েছিল দ্রুত। রামকৃষ্ণ থেকে শুরু করে শত শত সাধক এখানে ছুটে এসেছেন মায়ের টানে। মা হংসেশ্বরীর পুজো পা দিয়েছে ২০৯ বছরে। হংসেশ্বরীর টানে প্রতি বছর কালীপুজোর সময় হাজার হাজার ভক্ত আসেন এখানে। ভক্তরা দেবীকে বিপত্তারিণী বলে মানেন।

আরোও পড়ুন : আবারও আসরে নামছে ইডি! কুন্তলের বিরুদ্ধে বড়সড় অ্যাকশন, গ্রেপ্তারির ১০ মাস পর কী প্ল্যান এখন?

তন্ত্র মতে পুজো হয় এখানে। ছাগ বলির সাথে মোষবলির জন্য পুজোর রাতে এখান দিয়ে বয়ে যায় রক্ত গঙ্গা। তবে এ বছর বদলাতে চলেছে শতাব্দী প্রাচীন এই রীতি। এই পুজোর দায়িত্বে থাকা রাজ পরিবারের সদস্যরা এ বছর থেকে তুলে দিচ্ছেন বলি প্রথা। নৃসিংহদেব রায়ের হাত ধরে নির্মাণ কার্য শুরু হয় হংসেশ্বরী মন্দিরের।

আরোও পড়ুন : বাড়িতে বসেই এক্কেবারে আরামের ব্যবসা! প্রায় লাখ টাকার কাছাকাছি ইনকাম, বিক্রি নিয়েও চাপ নেই

নৃসিংহদেব মন্দির কার্য সম্পন্ন হওয়ার আগেই মারা যান ১৮০২ সালে। নৃসিংহদেবের দ্বিতীয় স্ত্রী রাণী শঙ্করীর উদ্যোগে মন্দির নির্মাণ শেষ হয় ১৮১৪ সালে। ১৩টি চূড়া, তিনতলায় কষ্টিপাথরের ১২টি শিবলিঙ্গ, গর্ভগৃহে পাথরের বেদির উপর খোদাই করে সহস্রদল ও অষ্টদল পদ্ম এই মন্দিরের আকর্ষণের অন্যতম একটি জায়গা। 

whatsapp image 2020 09 02 at 08.11.31

মন্দিরের এই গঠন পর্যটকদের পাশাপাশি গবেষকদের কাছেও আকর্ষণের বিষয়। সহস্রদল ও অষ্টদল পদ্মর উপরে এই মন্দিরে শায়িত রয়েছেন মহাদেব। আর তার উপর অবস্থান করেন  মা হংসেশ্বরী। রীতিঅনুযায়ী গত বছর কালীপুজোর সময় এই মন্দিরে দুটি ছাগ বলি দেওয়া হয়। তবে মন্দিরের পুরোহিত জানিয়েছেন এ বছর আর বলি হবে না।

Comments

Popular posts from this blog

latest news

India rag is a bengali web portal and they use source of Anandabazar Patrika and many site

শীতেও এবার গলদঘর্ম হবেন আপনি! ডিসেম্বরে খেল দেখাবে অভিশপ্ত এল নিনো